আযান ও নামায সম্পর্কীয় সকল প্রকার দু’আসমূহ। আমাদের জবাব। Our Answer
আযান ও নামায সম্পর্কীয় দু’আসমূহ
মসজিদে প্রবেশ হওয়ার সময় পড়ার দু’আ
بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ, اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
অর্থ : আমি আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন। (ইবনে মাজাহ, খ. ১, পৃ. ৪৯৩, হাদীস নং ৭৭১, মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৪৯৪, হাদীস নং ৭১৩)
ফায়দা : নিম্নোক্ত দু’আটি পড়লে মসজিদে প্রবেশ হওয়ার পাঁচটি সুন্নাতের মধ্য থেকে তিনটি (বিসমিল্লাহ পড়া, দুরূদ ও দু’আ পড়া) আদায় হয়ে যাবে।
মসজিদে প্রবেশ হওয়ার পর পড়ার দু’আ
اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ
অর্থ : শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর। (মুসান্নাফে আবদির রায্যাক, খ. ১, পৃ. ৪২৬, হাদীস নং ১৬৬৭)
মসজিদে থাকা অবস্থায় পড়ার দু’আ
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র। সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে মহান। (জামে তিরমিযী, খ. ৫, পৃ. ৫৩২, হাদীস নং ৩৫০৯)
মসজিদ থেকে বের হওয়ার দু’আ
بِسْمِ اللهِ وَالصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ, اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
অর্থ : আমি আল্লাহর নামে বের হলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৪৯৪, হাদীস নং ৭১৩, ইবনে মাজাহ, খ. ১, পৃ. ৪৯৩, হাদীস নং ৭৭১)
ফায়দা : নিম্নোক্ত দু’আটি পড়লে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পাঁচটি সুন্নাতের মধ্য থেকে তিনটি (বিসমিল্লাহ পড়া, দুরূদ ও দু’আ পড়া) আদায় হয়ে যাবে।
অযূর শুরুতে পড়বে
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ
অর্থ : আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়াময়। (হিসনে হাসীন, পৃ. ১২০)
অযূর মাঝে এ দু’আ পড়বে
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَنْبِىْ وَوَسِّعْ لِىْ فِىْ دَارِىْ وَبَارِكْ لِىْ فِىْ رِزْقِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দেন। আমার ঘরে স্বচ্ছলতা দান করুন এবং আমার রিযিকে বরকত দান করুন। (নাসায়ী, খ. ৬, পৃ. ২৪, হাদীস নং ৯৯০৮)
অযূর শেষে কালিমায়ে শাহাদাত পড়বে
اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَه لاَ شَرِيْكَ لَه وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُه وَرَسُوْلُه
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তিনি এক, অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল। (তিরমিযী, খ. ১, পৃ. ৭৮, হাদীস নং ৫৫)
অতঃপর এ দু’আ পড়বে
اّللّهُمَّ اجْعَلْنِىْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِىْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে অধিক তাওবাকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কর। এবং যারা সর্বদা পবিত্র থাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। (তিরমিযী, খ. ১, পৃ. ৭৮, হাদীস নং ৫৫)
বিসমিল্লাহর পর পড়ার দু’আ
اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِىْ جَعَلَ الْمَاءَ طَهُوْراً
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি পানিকে পরিষ্কারক করেছেন।
কুলি করার সময় পড়বে
اَللّٰهُمَّ اسْقِنِىْ مِنْ حَوْضِ نَبِيِّكَ كَأْساً لاَّ اَظْمَأُ بَعْدَه اَبَداً
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার নবীর হাউসে কাউসার থেকে এক গ্লাস পান করান যাতে আমি আর কখনো তৃষ্ণার্ত না হই।
নাকে পানি দেয়ার সময় পড়বে
اَللّٰهُمَّ لاَ تَحْرِمْنِىْ رَائِحَةَ نَعِيْمِكَ وَجَنَّاتِكَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে আপনার নেয়ামত ও জান্নাতের সুঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত করবেন না।
চেহারা ধোয়ার সময় বলবে
اَللّٰهُمَّ بَيِّضْ وَجْهِىْ يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَّتَسْوَدُّ وُجُوْهٌ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার চেহারা উজ্জ্বল করুন যেদিন কতকগুলো চেহারা উজ্জ্বল হবে আর কতকগুলো চেহারা হবে কাল।
দুই হাত ধোয়ার সময় বলবে
اَللّٰهُمَّ اَعْطِنِىْ كِتَابِىْ بِيَمِيْنِىْ، اَللّٰهُمَّ لاَ تَعْطِنِىْ كِتَابِىْ بِشِمَالِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার আমলনামা আমার ডান হাতে দিন। হে আল্লাহ! আমার আমলনামা আমার বাম হাতে দিবেন না।
মাথা মাসাহ করার সময় বলবে
اَللّٰهُمَّ حَرِّمْ شَعْرِىْ وَبَشَرِىْ عَلَى النَّارِ، وَاَظِلَّنِىْ تَحْتَ عَرْشِكَ يَوْمَ لاَ ظِلَّ اِلاَّ ظِلُّكَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার চুল ও ত্বককে আগুনের জন্য হারাম করে দেন এবং আমাকে আপনার আরশের নিচে ছায়া দেন যেদিন আপনার আশ্রয় ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।
দুই কান মাসাহ করার সময় বলবে
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِىْ مِنَ الَّذِيْنَ يَسْتَمِعُوْنَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُوْنَ اَحْسَنَه
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর যারা মনোযোগ সহকারে শুনে এবং ভাল কথার অনুসরণ করে।
দুই পা ধোয়ার সময় বলবে
اَللّٰهُمَّ ثَبِّتْ قَدَمَىَّ عَلَى الصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيْمِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার দু’পাকে সহজ-সঠিক পথে দৃঢ় রাখুন।
ফজরের নামাযের জন্য বের হয়ে পড়ার দু’আ
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِىْ قَلْبِىْ نُوْراً وَّفِىْ لِسَانِىْ نُوْراً وَّاجْعَلْ فِىْ سَمْعِىْ نُوْراً وَّاجْعَلْ فِىْ بَصَرِىْ نُوْراً وَّاجْعَلْ مِنْ خَلْفِىْ نُوْراً وَّمِنْ اَمَامِىْ نُوْراً وَّاجْعَلْ مِنْ فَوْقِىْ نُوْراً وَّمِنْ تَحْتِىْ نُوْراً اَللّٰهُمَّ اَعْطِنِىْ نُوْراً
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর দান করুন। আমার জিহ্বায় নূর দান করুন। আমার শ্রবণ শক্তিতে নূর দান করুন। আমার দৃষ্টিশক্তিতে নূর দান করুন। আমার পিছনে নূর দান করুন। আমার সামনে নূর দান করুন। আমার উপরে নূর দান করুন। আমার নীচে নূর দান করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৫২৫, হাদীস নং ৭৬৩)
সূর্যোদয়ের পর এ দু’আ পড়বে
اَلْحَمْدُ للهِ الَّذِىْ اَقَالَنَا يَوْمَنْا هذَا وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوْبِنَا
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি আজকের দিনে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং গুনাহের কারণে আমাদেরকে ধ্বংস করেননি। (ইবনে হিব্বান, খ. ৬, পৃ. ৩৪১, হাদীস নং ২৬০৭)
মাগরিবের আযানের সময় পড়ার দু’আ
اَللّٰهُمَّ اِنَّ هذَا اِقْبَالُ لَيْلِكَ وَاِدْبَارُ نَهَارِكَ وَاَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! এটা আপনার রাতের আগমন ও দিনের গমন এবং আপনার প্রতি আহবানকারী (মুয়ায্যিনদের) ধ্বনির (আযানের) সময়। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেন। (আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ২০১, হাদীস নং ৫৩০)
আযানের জওয়াব
যখন আযান শুনবে, মুয়ায্যিন যে বাক্য বলবে, শ্রোতাও সে বাক্য পুনরাবৃত্তি করবে। তবে حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ এবং حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ এর উত্তরে শ্রোতা لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ বলবে। (সুনানে আবূ দাউদ, খ. ১, হাদীস নং ৫২৭)
আর ফজরের আযানের ক্ষেত্রে মুয়াযযিন যখন اَلصَّلاَةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ বলবে তখন উত্তরে صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ বলবে। (মারাকিউল ফালাহ, পৃ. ১১০, বেহেশতী জেওর, পৃ. ৭৪৬)
আযানের শেষে পড়ার দু’আ
اَللّٰهُمَّ رَبَّ هذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَاماً مَّحْمُوْدَنِ الَّذِىْ وَعَدَّتَه اِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ
অর্থ : হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের আপনিই রব। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অসীলা ও মর্যাদা দান কর। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে অধিষ্ঠিত করুন, যার ওয়াদা আপনি তাঁকে দিয়েছ। অবশ্যই আপনি ওয়াদা ভঙ্গ কর না। (বুখারী, খ. ১, পৃ. ১২৬, হাদীস নং ৬১৪, জামে তিরমিযী, খ. ১, পৃ. ৪১৩, হাদীস নং ২১১)
অথবা এ দু’আ পড়বে
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ, وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدِ رَسُوْلًا وَبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিলাম। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ২৯০, হাদীস নং ৩৮৬)
আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ার দু’আ
ফায়দা : আযান এবং ইকামতের সময় নিশ্চয় দু’আ কবুল হয়। তাই এ সময়ে আল্লাহ পাকের কাছে অবশ্যই দু’আ করবে এবং দুনিয়া-আখিরাতে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করবে। এভাবে আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ও দু’আ কবুল হয়। তাই এ সময়ে সুন্নাত নামায অথবা সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহর কাছে অবশ্যই দু’আ করবে।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافُاةََ فِى الدُّنْيَا وَالْاخِرَةِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্ষমা ও নিরাপত্তা চাই এবং দুনিয়া ও আখিরাতে (প্রত্যেক বিপদাপদ ও আযাব থেকে) হিফাযত প্রার্থনা করছি। (হিসনে হাসীন, পৃ. ১৪৩)
ইকামতের জওয়াব
ইকামতের উত্তর আযানের উত্তরের ন্যায়। তবে মুয়ায্যিন যখন قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ বলবে, তখন শ্রোতা এর উত্তরে اَقَامَهَا اللهُ وَاَدَامَهَا বলবে। (আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ২০০, হাদীস নং ৫২৮)
ফজরের সুন্নাত নামাযে পড়ার সূরাসমূহ
ফজরের সুন্নাতে প্রথম রাকআতে সূরায়ে قُلْ ياَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ পড়বে এবং দ্বিতীয় রাকআতে قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ পড়বে। (তিরমিযী, খ. ২, পৃ. ২৭৬, হাদীস নং ৪১৭)
ছানা
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالى جَدُّكَ وَلاَ اِلـهَ غَيْرُكَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তোমার প্রশংসা করছি। তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা সুউচ্চ আর তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ২৯৯, হাদীস নং ৩৯৯, তিরমিযী, খ. ২, পৃ. ৯, হাদীস নং ২৪২)
রুকূর তাসবীহ (৩ বার)
سُبْحَانَ رَبِّىَ العَظِيْمِ
অর্থ : আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (সহীহ মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৫৩৬, হাদীস নং ৭৭২)
অতঃপর এ দু’আ পড়া
اَللّٰهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ اَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِىْ وَبَصَرِىْ وَمُخِّىْ وَعَظَمِىْ وَعَصَبِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকূ করেছি, আমি আপনার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং আমি আপনার আনুগত্য অবলম্বন করেছি। আমার কান, আমার চোখ, আমার মগজ, আমার হাড় এবং আমার শিরা (সবকিছু) আপনার সম্মুখে অবনত। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৫৩৪, হাদীস নং ৭৭১)
রুকূ থেকে উঠার সময় পড়া
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه
অর্থ : আল্লাহ শোনেন যে তার প্রশংসা করে। (বুখারী, খ. ১, পৃ. ১৪০, নং ৬৮৯)
রুকূ থেকে উঠে পড়ার দু’আ (তাহমীদ)
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্যেই। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৫৩৬, হাদীস নং ৭৭২)
রুকূ থেকে উঠে তাহমীদের পর পড়া
حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ
অর্থ : এরূপ প্রশংসা যা প্রচুর, পবিত্র ও কল্যাণময়। (সহীহ বুখারী, খ. ১, পৃ. ১৫৯, হাদীস নং ৭৯৯)
সেজদার তাসবীহ (৩ বার)
سُبْحَانَ رَبِّىَ الاَعْلى
অর্থ : আমি আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৫৩৬, হাদীস নং ৭৭২)
অতঃপর এ দু’আ পড়বে
اَللّٰهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ امَنْتُ وَلَكَ اَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِىْ لِلَّذِىْ خَلَقَه وَصَوَّرَه فَاَحْسَنَ صُوَرَه وَشَقَّ سَمْعَه وَبَصَرَه فَتَبَارَكَ اللهُ اَحْسَنَ الْخَالِقِيْنَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সেজদা করেছি, আমি আপনার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং আমি আপনার আনুগত্য করেছি। আমার কপাল ঐ সত্তাকে সেজদা করেছে যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে অতি উত্তম আকৃতি দান করেছেন। (শোনার জন্য) কান সৃষ্টি করেছেন এবং (দেখার জন্য) চোখ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা অতি বরকতপূর্ণ, যিনি অতি উত্তম সৃষ্টিকর্তা। (ইবনে হিব্বান, খ. ৫, পৃ. ৩১৫, হাদীস নং ১৯৭৭)
সেজদায় এ দু’আও পড়া যায়
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَنْبِىْ كُلَّه دِقَّه وَجُلَّه وَاَوَّلَه وَآخِرَه وَعَلاَنِيَّتَه وَسِرَّه
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করুন, ছোট-বড়, পূর্বের-শেষের এবং প্রকাশ্য-গুপ্ত গুনাহ। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৩৫০, হাদীস নং ৪৮৩)
ফায়দা : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় মাঝে মাঝে এ দু’আ পড়তেন-
সেজদায় এ দু’আটিও পড়া যায়
اَللّٰهُمَّ اَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لاَ اُحْصِىْ ثَنَاءً عَلَيْكَ اَنْتَ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلى نَفْسِكَ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার অসন্তুষ্টি থেকে, আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আমি পানাহ চাই। আপনার গুণাবলী বর্ণনা করে আমি শেষ করতে পারব না, তুমি ঐরূপ প্রশংসার মালিক যেরূপ আপনি আপনার প্রশংসা করেছ। (মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৩৫২, হাদীস নং ৪৮৬)
ফায়দা : এ দু’আটি বিতরে পড়ার বর্ণনাও রয়েছে। (তিরমিযী, খ. ৫, পৃ. ৫৬১, হাদীস নং ৩৫৬৬)
জালসা (দুই সেজদার মাঝখানে) পড়া
رَبِّ اغْفِرْ لِىْ رَبِّ اغْفِرْ لِىْ
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন। (আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ২৯৩, হাদীস নং ৮৭৪)
অথবা এ দু’আ পড়া
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَاهْدِنِىْ وَعَافِنِىْ وَارْزُقْنِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার প্রতি দয়া করুন। আমাকে হিদায়েত করুন। আমাকে মাফ করুন। আমাকে রিযিক দান করুন। (আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ২৮৬, হাদীস নং ৮৫০, মিশকাতুল মাসাবীহ, খ. ১, পৃ. ১৯৬, হাদীস নং ৯০০)
তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু)
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَرَحْمَةُ اللهَ وَبَرَكَاتُه اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُه وَرَسُوْلُهْ
অর্থ : সমস্ত সম্মান, সকল আনুগত্য ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের প্রতি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। (বুখারী, খ. ১, পৃ. ১৬৬, হাদীস নং ৮৩১, মুসলিম, খ. ১, পৃ. ৩০২, হাদীস নং ৪০৩)
দুরূদ শরীফ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلِّيْتَ عَلى اِبْرَاهِيْمَ وعَلى آل اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ, اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى اِبْرَاهِيْمَ وعَلى آلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, যেরূপ রহমত বর্ষণ করেছ ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। আপনি নিশ্চয় প্রশংসিত, সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, যেরূপ বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। আপনি নিশ্চয় প্রশংসিত, সম্মানিত। (বুখারী, খ. ৬, পৃ. ১২০, হাদীস নং ৪৭৯৭)
দু’আ মাছূরা
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ ظُلْماً كَثِيْراً وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ فَاغْفِرْ لِىْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অত্যাধিক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া অন্য কেউ অপরাধ ক্ষমাকারী নেই। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দেন এবং আপনি আমাকে রহম করুন, আপনিই ক্ষমাকারী, করুণাময়। (বুখারী, খ. ১, পৃ. ১৬৬, হাদীস নং ৮৩৪, মুসলিম, খ. ৪, পৃ. ২০৭৮, হাদীস নং ২৭০৫)
তাহাজ্জুদের নিয়তে উঠে পড়ার দু’আ
لاَ اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَه لاَ شَرِيكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ, سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلاَ اِلـٰهَ اِلاَّ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ, وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ اِلاَّ بِاللّٰهِ, اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ অতি পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত (আমাদের) কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। (বুখারী, খ. ২, পৃ. ৫৪, হাদীস নং ১১৫৪)
অতঃপর এ দু’আ পড়বে
প্রথমে اَللهُ اَكْبَرُ দশবার, اَلْحَمْدُ لِلّهِ দশবার, سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهٖ দশবার, سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ দশবার এবং اَسْتَغْفِرُ اللهَ দশবার পড়বে। অতঃপর নিম্নেবর্ণিত দু’আ দশবার পড়বে- اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ ضِيْقِ الدُّنْيَا وَضِيْقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চই আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও কিয়ামতের দিনের সংকট থেকে পানাহ চাই। (আবূ দাউদ, খ. ২, পৃ. ৭৪৪, হাদীস নং ৫০৮৫)
ফায়দা : তাহাজ্জুদের নামায দু’রাকাআত করে চার, আট কিংবা বারো রাকআত পড়বে।
বিতরের নামাযে পড়ার সূরাসমূহ
বিতরের নামাযে প্রথম রাকআতে সূরায়ে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلى পড়বে, দ্বিতীয় রাকআতে সূরায়ে قُلْ ياَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ পড়বে এবং তৃতীয় রাকআতে قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ পড়বে। (জামে তিরমিযী, খ. ২, পৃ. ৩২৬, হাদীস নং ৪৬৩)
দু’আয়ে কুনূত
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ, اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّى وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনার সাহায্য চাই, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি, আপনার উপর ঈমান রাখি এবং তোমার উপর ভরসা করি। আপনার উত্তম প্রশংসা করি। আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, অকৃতজ্ঞতা করি না। যারা আপনার অবাধ্য, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি ও তাদেরকে বর্জন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার উদ্দেশ্যে নামায আদায় করি। আমরা আপনাকে সেজদা করি, আপনার দরবারে দৌঁড়ে আসি এবং আপনারই দিকে ধাবিত হই। আমরা আপনার রহমতের আশাবাদী ও আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার আযাব কাফেরদের সাথে যুক্ত হবে। (বায়হাকী, খ. ২, পৃ. ২১০, হাদীস নং ২৯৬২ ও ২৯৬৩)
বিতরের নামাযের সালামের পর পড়ার দু’আ (৩ বার)
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ
অর্থ : আমি আল্লাহ তা‘আলার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, যিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র। (সুনানে আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ৪৫৪, হাদীস নং ১৪৩০)
ফায়দা : বিতরের নামাযের সালামের পর নিম্নোক্ত দু’আ তিনবার পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং ৬৯৪৩)
কুনূতে নাযিলা
اَللّٰهُمَّ اهْدِنَا فِىْ مَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنَا فِىْ مَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنَا فِىْ مَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لَنَا فِىْ مَا اَعْطَيْتَ وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ اِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضى عَلَيْكَ اِنَّه لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ نَسْتَغْفِرُكَ وَنَتُوْبُ اِلَيْكَ وَصَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِىِّ الْكَرِيْمِ, اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلَنَا وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَاَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَاَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ وَانْصُرْهُمْ عَلى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ, اَللّٰهُمَّ الْعَنِ الْكَفَرَةَ وَالْمُشْرِكِيْنَ وَالْيَهُوْدَ وَالنَّصَارى الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ اَوْلِيَاءَكَ, اَللّٰهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِلْ اَقْدَامَهُمْ وَشَتِّتْ شَمْلَهُمْ وَفَرِّقْ جَمْعَهُمْ وَاَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِىْ لاَ تَرُدُّه عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ, اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَجْعَلُكَ فِىْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعْوْذُبِكَ مِنْ شُرُوْرُهِمْ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হিদায়েত প্রদান করেছেন, আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। যাদেরকে ক্ষমা করেছেন, আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। যাদেরকে বন্ধু বানিয়েছ, আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন। আপনার ফয়সালাকৃত বিষয়ের অনিষ্ট থেকে আমাদের হিফাযত করুর। নিশ্চয় আপনি ফয়সালাকারী, আপনার বিরুদ্ধে কোন ফয়সালা চলে না। আপনি যাকে বন্ধু বানিয়েছ, সে অপমানিত হয় না। আপনি যাকে শত্রæ বানিয়েছ, সে কখনও ইজ্জত পায় না। হে রব! আপনি বরকতময় ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তাওবা করি। আল্লাহ তা‘আলা রহমত বর্ষণ করুন সম্মানিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে মাফ করে দেন। মাফ করে দেন মুমিন নর-নারীকে এবং সকল মুসলিম নর-নারীকে। তাদের অন্তরে পরস্পর মিল-মহব্বত সৃষ্টি করে দেন। তাদের মধ্যকার সকল বিষয়ের সমাধান করে দেন। আর তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুদের উপর সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! কাফের ও মুশরিকদের প্রতি লা’নত করুন, লা’নত করুন ইহুদী-খৃষ্টানদের প্রতি, যারা আপনার দ্বীনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, আপনার রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, আপনার অলীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। হে আল্লাহ! তাদের পরস্পরের কথাবার্তায় বিরোধ সৃষ্টি করে দেন। তাদের পদক্ষেপ বিধ্বস্ত করে দেন। তাদের বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাদের জামাআতকে ছিন্নভিন্ন করে দেন এবং তাদের উপর আপনার এমন আযাব নাযিল করুন, অপরাধী স¤প্রদায় থেকে যে আযাব আপানি দূর করবে না। হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের মোকাবেলায় পেশ করলাম এবং আমরা তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। (বায়হাকী, খ. ২, পৃ. ২০৯, হাদীস নং ২৯৫৭ আংশিক, হিসনে হাসীন, পৃ. ১২৭-১২৮)
ফায়দা : কাফের-মুশরিকদের পক্ষ থেকে মুসলমানদের উপর যদি হঠাৎ কোন বালা-মুসীবত, আক্রমন কিংবা অত্যাচার-নিপীড়ন আরম্ভ হয়, তাহলে ফজরের নামাযের দ্বিতীয় রাকআতে রুকূর পর ইমাম উচ্চস্বরে কুনূতে নাযিলা পড়বে এবং মুক্তাদীগণ ইমামের প্রতিটি বাক্য উচ্চারণের পরপর আস্তে আমীন বলবে। এক মাস অথবা বিপদ দূর না হওয়া পর্যন্ত এ দু’আ পড়া যায়।
তাহাজ্জুদের নামায (সর্বোত্তম নফল নামায)
সূরা বনী ইসলাঈলের ৭৯ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নামাযসমূহের মধ্যে শুধু তাহাজ্জুদের নামাযের কথা নাম সহ বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ হলো, সমস্ত নফল ইবাদাতের মধ্যে আফযাল, গুনাহ মোচন এবং প্রয়োজন অর্জনের জন্য এর তুলনা নেই। তাহাজ্জুদ ব্যতীত আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং বুযুর্গানে দ্বীন সর্বদা তাহাজ্জুদের পাবন্দি করেছেন।
সালাতুল হাজত এর দু’আ
لاَ اِلـهَ اِلاَّ اللّهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ، سُبْحَانَ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنِ، اَسْاَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ اِثْمٍ، لاَ تَدَعْ لِىْ ذَنْباً اِلاَّ غَفَرْتَه وَلاَ هَمًّا اِلاَّ فَرَّجْتَه، وَلاَ حَاجَةً هِىََ لَكَ رِضاً اِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। তিনি ধৈর্যশীল, দয়ালু। তিনি পবিত্র, যিনি মহান আরশের রব। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি সারা জাহানের প্রতিপালক। হে আল্লাহ! আমি তোমার রহমতের উপকরণগুলো আর তোমার মাগফিরাত পেতে উপযুক্ত অসীলার জন্য প্রার্থনা করছি। আর প্রত্যেক গুনাহ হতে নিরাপদে রেখে প্রত্যেকটি পুণ্যের সম্পদের জন্য আবেদন করছি। হে দয়াবানদের দয়াবান! ক্ষমা ব্যতীত আমার কোন গুনাহ অবশিষ্ট রেখ না। কোন দুঃখ-বেদনা দূর করা ছাড়া রেখে দিও না এবং তোমার পছন্দ হয় এমন কোন প্রয়োজন পূরণ করা ছাড়া রেখে দিও না।
ফায়দা : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তির আল্লাহ তা‘আলা কিংবা মানুষের নিকট কোন প্রয়োজন রয়েছে। সে ব্যক্তির উচিত ভালভাবে অযূ করে দুই রাকআত নামায পড়বে। এরপর আল্লাহর প্রশংসা করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠ করা, অতঃপর উল্লিখিত দু’আ পড়া। (তিরমিযী, খ. ২, পৃ. ৩৪৪, হাদীস নং ৪৭৯)
নামাযে ইস্তেখারা এর দু’আ
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ، وَاَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَاَسَاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَاِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا اَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلَا اَعْلَمُ، وَاَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اَللّٰهُمَّ اِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هذَا الْاَمْرَ خَيْرٌ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةُ اَمْرِىْ فَاقْدِرْهُ لِىْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِىْ فِيْهِ، وَاِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هذَا الْاَمْرَ شَرٌّ لِّىْ فِىْ دِيْنِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِىْ، فَاصْرِفْهُ عَنِّىْ وَاصْرِفِْنىْ عَنْهُ وَاقْدِرْ لِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ ارْضِنِىْ بِه–
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার ইল্মের মাধ্যমে তোমার কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে তোমার কুদরতের মাধ্যমে শক্তি-সামর্থ্য প্রার্থনা করছি। আর তোমার কাছে তোমার বড় অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা, তোমার শক্তি আছে, আমার শক্তি নেই, তুমি জান, আমি জানি না। তুমি অদৃশ্য বিষয়ে খুবই পরিজ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞানে জ্ঞানে এ কাজটি আমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম ও কল্যাণকর হয়, তবে তাকে আমার জন্য অবধারিত করে দেন। তারপর এতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি এ কাজটি আপনার জানামতে আমার দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য অকল্যাণকর হয়, তবে উক্ত কাজকে আমার থেকে দূরে রাখ এবং আমাকে উক্ত কাজ থেকে বিরত রাখেন। আর আমার জন্য সর্বস্থানে কল্যাণ বরাদ্দ করুন। অতঃপর আমাকে তাতে সন্তুষ্ট করুন। (বুখারী, খ. ২, পৃ. ৫৬, হাদীস নং ১১৬২)
ফায়দা : জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সকল কাজের জন্য ইস্তেখারা শিখিয়েছেন, যেভাবে আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিখিয়েছেন। যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা করছে, সে যেন দুই রাকআত নামায পড়ে এবং এরপর উল্লিখিত দু’আ পড়ে।
সালাতুত্ তাসবীহ
নিয়ম : চার রাকআত নামাযে এ তাসবীহ সর্বমোট ৩০০ বার অর্থাৎ প্রত্যেক রাকআতে ৭৫ বার করে পড়তে হবে। নিম্নরূপে-
১। সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়ার পর ১৫ বার
২। রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার
৩। রুক‚ থেকে উঠে সোজা দাঁড়িয়ে ১০ বার
৪। সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার
৫। সেজদা থেকে উঠে সোজা বসে ১০ বার
৬। দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার
৭। দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে সোজা বসে ১০ বার
মোট = ৭৫ বার
ফযীলতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ চাচা হযরত আব্বাস (রাযি.)কে এ নামাযের শিক্ষা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, এ নামাযের দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা আপনার পূর্বাপর, পুরাতন-নতুন, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট-বড় এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য গুনাহ মাফ করে দিবেন। সম্ভব হলে প্রত্যেক দিন একবার এভাবে নামায পড়বেন। প্রত্যেক দিন সম্ভব না হলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার পড়বেন। প্রত্যেক সপ্তাহে সম্ভব না হলে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। প্রত্যেক মাসে সম্ভব না হলে বছরে একবার পড়বেন এবং যদি বছরে একবারও সম্ভব না হয় তবে অন্তত সারা জীবনে একবার অবশ্যই পড়বেন। (আবূ দাউদ, খ. ১, পৃ. ৪১৪, হাদীস নং ১২৯৭)
এ হল এক রাকআতে ৭৫ বার। তারপর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলা ব্যতীত দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়াবে এবং উক্ত নিয়মে দ্বিতীয় রাকআত পড়বে। দ্বিতীয় রাকআতে দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে আগে ১০ বার তাসবীহ পড়ে নিবে পরে আত্তাহিয়্যাতু পড়বে এবং তাকবীর বলা ব্যতীত তৃতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়াবে। অতঃপর তৃতীয় ও চতুর্থ রাকআত উক্ত নিয়মে পড়বে। চার রাকআতে মোট হল (৭৫×৪=) ৩০০ বার। তাসবীহটি হচ্ছে :
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ وَلاَ اِلـهَ اِلاَّ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ
অর্থ : আল্লাহ অতি পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, আল্লাহ মহান। (সুনানে ইবনে মাজাহ, খ. ২, পৃ. ৩৯৬, হাদীস নং ১৩৮৬, মিশকাতুল মাসাবীহ, খ. ১, পৃ. ২৯৬, হাদীস নং ১৩২৮)
সালাতুত্ তাওবা (তাওবার নামায)
মু’মিন এর গুণ হল তার দ্বারা গুনাহ হয় না। যদি কখনো ভুলবশত গুনাহ হয়ে যায় সাথে সাথে তাওবা করে নেয়। তাওবা করার নিয়ম হল, উত্তমরূপে গোসল বা অযূ করে দু’রাকআত তাওবার নামায (অন্যান্য নামাযের ন্যায়) পড়বে। নামায শেষে সাধারণ ইস্তিগফার, সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পড়বে এবং নিম্ন লিখিত দু’আ তিন বার পাঠ করবে।
اَللّٰهُمَّ مَغْفِرَتُكَ اَوْسَعُ مِنْ ذُنُوْبِىْ وَرَحْمَتُكَ اَرْجى عِنْدِىْ مِنْ عَمَلِىْ
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার মাগফিরাত আমার গুনাহর চেয়ে অনেক প্রশস্ত এবং আমার মধ্যে নিজ আমালের চেয়ে তোমার রহমতের আশা (ভরসা) অনেক বেশি।
ফায়দা : এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার দ্বারা গুনাহ হয়ে গেছে। আপনি বললেন : এ দু’আ তিনবার পাঠ কর, সে তিনবার এ দু’আ পাঠ করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন : “উঠ, যাও! আল্লাহ তা‘আলা তোমার গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন।” (মুস্তাদরাকে হাকিম, খ. ১, পৃ. ৭২৮, হাদীস নং ১৯৯৪)
তিলাওয়াতে সেজদায় পড়ার দু’আ
প্রথমে সেজদার তাসবীহ তিন বার পড়া। অতঃপর নিম্নোক্ত দু’আ পড়া।
سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ خَلَقَه وَشَقَّ سَمْعَه وَبَصَرَه بِحَوْلِه وَقُوَّتِه
অর্থ : আমার চেহারা তাঁর জন্য সেজদা করল যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং (শোনার জন্য) কান ও (দেখার জন্য) চোখ সৃষ্টি করেছেন, তাঁরই প্রদত্ত শক্তি ও সামর্থবলে। (তিরমিযী, খ. ৫, পৃ. ৪৮৯, হাদীস নং ৩৪২৫)
তিলাওয়াতে সেজদার নিয়ম
দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে সোজা সেজদায় যাবে। একটি মাত্র সেজদা করবে। সেজদার তাসবীহ তিনবার পড়ার পর উপরোক্ত দু’আ পড়বে। আবার আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবে। সেজদা করার পর না দাঁড়িয়ে বসে পড়লেও অসুবিধা নেই। তাকবীরে তাহরীমা, হাত বাঁধা বা তাশাহুদ-সালাম ইত্যাদির প্রয়োজন নেই।
ফায়দা : সেজদায়ে তিলাওয়াত পাঠ করা মাত্রই সেজদা করা ওয়াজিব। সেজদার আয়াত পাঠ করার পর নিম্নোক্ত দু’আটি পাঠ করা উত্তম। সেক্ষেত্রে সাথে সাথে সেজদা না করে পরবর্তীতে সেজদা করলেও কোন অসুবিধা হবে না।
سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
অর্থ : আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার ক্ষমা চাই। আর আপনার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সূরা বাকারা, ২ : ২৮৫)
মাহে জিলহজ্ব ও কুরবানীর ফযীলত করণীয় ও বর্জনীয় || রাহে সুন্নাত ব্লগ
উলামায়ে কেরাম : মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তব্য
কুরআনুল কারিমের কথা প্রবন্ধটি পড়তে ক্লিক করুন
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ
কোন মন্তব্য নেই