Header Ads

Header ADS

কাদিয়ানিদের কিছু বানোয়াট সংশয়ের জওয়াব। আমাদের জবাব

কাদিয়ানিদের কিছু বানোয়াট সংশয়ের জওয়াব 

খাতামুন নাবিয়্যিন আয়াতের তাফসির পরিষ্কার ও স্পষ্ট। এর মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় ও সন্দেহের গুনজায়েশ ও অবকাশ নেই। কিন্তু কাদিয়ানিরা হক ও সত্য বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরও সংশয় ও সন্দেহে লিপ্ত। এ জন্য আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে, তাদের সংশয়গুলোও দূরে করে দেওয়া এবং পরিষ্কার জওয়াব দিয়ে দেওয়া। হতে পারে আল্লাহ তায়ালার তাওফিকে হক ও সত্য বিষয়টি তাদের বুঝে আসবে। আর ‘এটি আল্লাহর জন্য মোটেও কঠিন নয়। (وَمَا ذٰلِكَ عَلَى اللهِ بِعَزِيزٍ)’। -(সূরা ইবরাহিম : ২০) 

কাদিয়ানিদের কিছু বানোয়াট সংশয়ের জওয়াব

কাদিয়ানিদের কিছু বানোয়াট সংশয়ের জওয়াব 

খাতামুন নাবিয়্যিন আয়াতের তাফসির পরিষ্কার ও স্পষ্ট। এর মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় ও সন্দেহের গুনজায়েশ ও অবকাশ নেই। কিন্তু কাদিয়ানিরা হক ও সত্য বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরও সংশয় ও সন্দেহে লিপ্ত। এ জন্য আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে, তাদের সংশয়গুলোও দূরে করে দেওয়া এবং পরিষ্কার জওয়াব দিয়ে দেওয়া। হতে পারে আল্লাহ তায়ালার তাওফিকে হক ও সত্য বিষয়টি তাদের বুঝে আসবে। আর ‘এটি আল্লাহর জন্য মোটেও কঠিন নয়। (وَمَا ذٰلِكَ عَلَى اللهِ بِعَزِيزٍ)’। -(সূরা ইবরাহিম : ২০)   

১ম সংশয় : হযরত ঈসা আ.-এর আগমন 

যদি খাতামুন নাবিয়্যিনের অর্থ হয়- নবীজির পরে কোনো নবী আসবে না। তা হলে আখেরি যামানায় হযরত ঈসা আ.-এর অবতরণ, যা মুসলমানদের ইজমায়ি আকিদা ও ঐকমত্য বিশ্বাস; সেটি কীভাবে সঠিক হবে?

জওয়াব 

খাতামুন নাবিয়্যিনের অর্থ : হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর কোনো নবী সৃষ্টি হবে না। যেমন শেষ সন্তান ও শেষ ছেলের অর্থ। যার পরে আর কোনো ছেলে পয়দা হয় নি। হযরত ঈসা আ. আমাদের নবীজির আগে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং নবীজির আগে নবী হয়েছেন। তাই তাঁর আগমন ও অবতরণ খতমে নবুয়তের বিরোধী ও বিপরীত বিষয় নয়। কিন্তু মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি আমাদের নবীজির পরে জন্মেছে। ফলে মির্যা কাদিয়ানির নবুয়ত দাবি করাটা খতমে নবুয়তের বিপরীত ও বিরোধী। 

হযরত আদম আ.-এর সন্তানদের মধ্যে অনেক নবী পয়দা হয়েছেন। তাদের সর্বশেষ নবী হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যেমন এক হাদীসে নবীজি ইরশাদ ফরমান, হযরত আদম আ. আসমান থেকে অবতরণ করেন। যমিনে এসে তাঁর দিল ও মন ঘাবড়ে যায়। অস্থির হয়ে পড়ে। তখন হযরত জিবরাইল আ. আযান দেন। তিনি তাতে বলেন : (أشهد أن محمدا رسول الله)-আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। হযরত আদম আ. জিবরাইলকে জিজ্ঞেস করেন, মুহাম্মদ কে? জিবরাইল আ. জওয়াব দেন : নবীদের মধ্যে আপনার শেষ-সন্তান (آخر ولدك من الأنبياء)। -(তাফসিরে ফাতহুল কাদির : ১/৭৯, দুররুল মানসুর : ১/৮৫)

অর্থাৎ, আপনার সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী হবেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হযরত ঈসা আ. আমাদের নবীজির আগে নবী হিসেবে আগমন করেছেন। আমাদের নবীজির আগমনের কয়েক শতাব্দী আগে তাকে জীবিত অবস্থায় আসমানে তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি এখনো জীবিত অবস্থায় আছেন। তিনি কেয়ামতের আগে উম্মতে মুহাম্মদির একজন মুজাদ্দিদ হয়ে অবতরণ করবেন—নবী হিসেবে নয়। তিনি অবতরণের পর নিজের কিতাব ইনজিলের দাওয়াত দেবেন না। নিজের ধর্ম ও শরিয়তের দিকেও কাউকে আহ্বান করবেন না। 

বরং খাতামুন নাবিয়্যিন শেষনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নায়েব ও প্রতিনিধি হয়ে কেবলই কোরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষদের দাওয়াত দেবেন। তিনি মুহাম্মদি শরিয়তের আনুগত্য ও অনুসরণ করতে পেরে নিজের জন্য গৌরবের বিষয় বলে মনে করবেন। আমৃত্যু শেষনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরিয়তেরই পতাকা উড়াবেন। এ জন্য শায়েখে আকবর মুহিউদ্দিন ইবনে আরাবি রহ. লিখেছেন-

وهو عيسى ... فيكون له يوم القيامة حشران حشر معنا وحشر مع الرسل وحشر مع الانبياء

হযরত ঈসা আ.-এর দু’টি হাশর হবে। একটি হবে নবী ও রাসূলগণের সঙ্গে। আরেকটি হবে উম্মতে মুহাম্মদির সঙ্গে। -(শায়েখ মুহিউদ্দিন ইবনে আরাবি রহ., ফুতুহাতে মাক্কিয়া : ৩/২১)  

মির্যা কাদিয়ানির স্বীকারোক্তি

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি লিখেছে, যার ওপর সমগ্র মানবসভ্যতা শেষ ও সমাপ্ত হবে, অবশ্যই তাকে বলা হবে শেষমানব। অর্থাৎ, তার মৃত্যুর পর কোনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ কোনো নারীর পেট থেকে জন্ম নেবে না। -(মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি, তুরইয়াকুল কুলুব : ১৫৬)

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির কাছে শেষ ছেলের অর্থ- যে ছেলের পরে নারীর পেট থেকে কোনো ছেলেসন্তান জন্ম না নেওয়া। এমনিভাবে খাতামুন নাবিয়্যিন ও শেষনবীর অর্থ- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে কোনো নবী নারীর পেট থেকে জন্ম নেবে না। আর এটা তো পরিষ্কার- হযরত ঈসা আ. আমাদের নবীজির আগে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

কাদিয়ানিদের বক্তব্য, কোনো পুরনো নবীর আগমন করা খাতামুন নাবিয়্যিনের আকিদা-বিশ্বাসের বিপরীত ও বিরোধী। কিন্তু কাদিয়ানের নবীর (!) জন্য আগমন করাটা খাতামুন নাবিয়্যিনের খেলাফ ও বিপরীত বিষয় নয়! কারণ তিনি তো সকল নবী ও রাসূল থেকে, এমনকি দু’জাহানের সরদার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও সম্মানিত ও মর্যাদাবান! তাই তার আগমনটা খাতামুন নাবিয়্যিনের আকিদা-বিশ্বাসের খেলাফ ও বিপরীত নয়! পুরনো নবীর জন্য আগমনের দরজা বন্ধ, কিন্তু সকল নবী থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নবীর জন্য নবুয়তের দরজা খোলা!

এটা হলো কাদিয়ানিদের মাতাল যুক্তি। পাগল-প্রলাপ। অথচ হক ও সত্য কথা তো এটিই- হযরত ঈসা আ.-এর আগমন এ বিষয়েরই আলামত ও প্রমাণ- এখন নবীদের ধারাবাহিকতার কোনো এক জনও আর বাকি নেই। এ জন্য আগের একজন নবীকে পাঠানো হয়েছে।

২য় সংশয় : খাতাম অর্থ 

কেউ যদি বলে, (خَاتَمَ النَّبِيِّينَ) খাতামুন নাবিয়্যিনের অর্থ- নবীদের সীলমোহর। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন, নবীগণের সীলমোহর। তাঁর সীলমোহর-সত্যায়ন ও অনুসরণ করার মাধ্যমে কেয়ামত পর্যন্ত নবী হতে থাকবে। 

জওয়াব  

এ ধরনের সংশয় একদমই অবান্তর-অগ্রহণযোগ্য। খাতামুন নাবিয়্যিন শব্দ থেকে এ ধরনের অর্থ করা আরবী কায়দা-কানুনেরই খেলাফ। আরবী ব্যাকরণ-রীতির প্রকাশ্য বিরোধী। নয়তো এ কথা বলা আবশ্যক হবে : 

খাতামুল কওম (خاتم القوم) অর্থ, এমন ব্যক্তি; যার সীলমোহর দ্বারা কওম ও জাতি সৃষ্টি হয়। 

খাতামুল মুহাজিরিন (خاتم المهاجرين) অর্থ, এমন ব্যক্তি; যার সীলমোহর দ্বারা মুহাজির তৈরি হয়। 

খাতামুল আওলাদ (خاتم الاولاد) অর্থ, এমন ব্যক্তি; যার সীলমোহর ও সত্যায়ন দ্বারা সন্তান জন্ম হয়। 

সুবহানাল্লাহ! খাতাম (خاتم)-এর কেমন আজিব আজিব অর্থ হবে তখন! কাদিয়ানিদের কী আশ্চর্য ও পাণ্ডিত্যময় গবেষণা! 

আল্লাহ তায়ালা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাতামুন নাবিয়্যিন-শেষনবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যাতে করে সিলসিলায়ে নবুয়ত ও নবীদের আগমন-ধারাবাহিকতা শেষ ও সমাপ্ত হয়। আর মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি বলে- না, এ জন্য নয়। বরং নবী বানানোর জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠানো হয়েছে! 

তা ছাড়া মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির করা খাতামুন নাবিয়্যিনের এ অন্যায্য ও অযৌক্তিক ব্যাখ্যা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর কেরাতের মধ্যে চলে না। কেরাতটি হলো-

وَلٰكِنَّ نَبِيًّا خَتَمَ النَّبيِّينَ.

কিন্তু তিনি (মুহাম্মদ সা.) এমন নবী, যিনি সকল নবীর আগমনধারা সমাপ্ত করে দিয়েছেন। -(তাফসিরে তবারি : ২০/২৭৯, তাফসিরে রুহুল মায়ানি : ১৬/১৪২)

খাতামুন নাবিয়্যিন বিষয়ে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মনগড়া বিশ্লেষণ ওই সকল হাদীসেও চলে না, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘(آخِرَ الاَنْبِيَاءِ) শেষনবী’ এবং ‘(لَا نَبِيَّ بَعْدِي) আমার পরে কোনো নবী নেই।’ 

এ সকল হাদীসে খাতামুন নাবিয়্যিন বিষয়ে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির বানোয়াট ও প্রতারণামূলক অর্থ মোটেও চলে না। 

খাতিম (خَاتِم) অর্থ শেষ ও সমাপ্তকারী। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মিথ্যাচার অনুযায়ী নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীলমোহর ও সত্যায়ন করার দ্বারা যদি নবী তৈরি হতে থাকে, তা হলে তো নবীজি খাতামুন নাবিয়্যিন হবেন না! বরং ফাতেহুন নাবিয়্যিন-নবী বানানেওয়ালা হবেন! নবুয়ত বিলানেওলা হবেন! নবী ও নবুয়তের দরজা খোলা ও উন্মোচনকারী হবেন! এটা তো কখনোই হতে পারে না।     

৩য় সংশয় : ছায়ানবী

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি লিখেছে, ‘আমি ছায়াগতভাবে মুহাম্মদ। আর এ পদ্ধতিতে খাতামুন নাবিয়্যিনের মোহর ভাঙ্গে না। -(মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি, যমিমায়ে হাকিকতুল ওহী : ২২৬) 

জওয়াব 

এ ধরনের কথাবার্তা বলা মানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে তামাশা করা। উপহাস ও ঠাট্টা করা। এ যেন ঘরের মালামাল সব লুট করে নিয়ে বলা, দরজা তো ঠিকই আছে। তালা তো ভাঙ্গে নি! আল্লাহ তায়ালা নবুয়তের ওপর মোহর লাগিয়েছেন। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নবুয়তের মোহরকে চুরি করেছে। সেটিকে ভেঙ্গে বিদীর্ণ করে ফেলেছে। আবার দাবি করছে, আল্লাহ পাকের আটকানো মোহর তো আগের মতোই আছে! এটা কি আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে মশকরা নয়? যে লোক বাদশার সমকক্ষতা দাবি করে সে তো বিদ্রোহী। যে ব্যক্তি বাদশার পদবী ও উপাধি নিজের জন্য দাবি করে, সে তো বড় ধরনের আসামি। হত্যাযোগ্য অপরাধী। 

নবী আলাইহিমুস সালামগণ নুরে নবুয়তের বিবেচনায় সবাই এক। যেমন আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদে ইরশাদ ফরমান-

لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ ۫

(মুমিনরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মাঝে কোনো তারতম্য করি না। -(সূরা বাকারা : ২৮৫)

কারো প্রতি ঈমান আনব, আর কারো প্রতি আনব না- এমনটা নয়। বরং সবার ওপরই আমরা ঈমান আনি। বিশ্বাস রাখি। নবুয়তের বিবেচনায় তাঁরা সবাই এক। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই তাঁরা আলাদা আলাদা। প্রত্যেক নবীর দেহ ও সত্তা আলাদা। প্রত্যেকের যুগ ও যামানা আলাদা। প্রত্যেকের স্থান ও অবস্থান আলাদা। প্রত্যেকের গুণাবলি ও মোজেযা আলাদা। এ আলাদা ও পৃথক ব্যক্তিত্বের কারণেই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাতামুন নাবিয়্যিন-শেষনবী বলা হয়েছে। যাতে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায়, নবুয়ত সমাপ্তির ভিত্তি রুহানি ইত্তেহাদ ও একতার ওপর নয়; বরং ব্যক্তি-ভিন্নতার ওপর নির্ভরশীল। অনুরূপভাবে খাতামুন নাবিয়্যিন শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে এ কথা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য; কেউ নিজেকে নবী দাবি করবে, আবার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসেবে মহব্বত ও অনুসরণ করার দাবি করবে- এটা তো কখনো হতে পারে না! 

এ কথা কে না জানে, হযরত মুসা ও হযরত হারুন আ. দু’জন এক ব্যক্তি ছিলেন না। বরং তাঁরা দু’জন দুই ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মাঝে পরিপূর্ণ একতা সততা মিল-মহব্বত এবং পূর্ণ ভ্রাতৃত্ব ও মায়া-মমতা বিদ্যমান থাকার পরেও হযরত মুসা আ. আপন মাকাম ও অবস্থানে ছিলেন। হযরত হারুন আ. নিজের স্থান ও অবস্থানে ছিলেন। 

আমরা যদি ধরেও নিই, আর বাস্তবে যদি সেটা প্রমাণিতও হয়, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি কোনো বাজারি বা পূজারি টাইপের ধান্দাবাজ আশেক না। বরং রাসূলের সত্যিকার একজন আশেক ও প্রেমিক ছিল। ফানা ফির রাসূল ছিল। রাসূল-প্রেমে বিভোর ও মাতোয়ারা ছিল। তার পরও মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির জন্য এ ধরনের মাকাম সাবেত ও প্রমাণ করার দ্বারা কোনো লাভ নেই। এ অবস্থা ও অবস্থান অর্জিত হওয়ার পরেও সে নবী উপাধি পাবে না। নিজেকে নবী দাবি করতে পারে না। 

যদি রাসূলের প্রেমে নিমগ্নতার কারণে গায়রে শরয়ি (বিধি-বিধানহীন) এবং এক ও অভিন্ন নবীর উপাধি হাসিল হয়, তা হলে আলাদা রাসূল ও স্বয়ং সম্পূর্ণ নবীর উপাধি অর্জিত হবে না কেন? এবং ফানাফিল্লাহ-আল্লাহর প্রেমে বিভোর ও নিমগ্নতার মাধ্যমে কেউ আল্লাহ উপাধি ও পদবি পাবে না কেন?  



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.