যাকাতের গুরুত্ব ও ফযীলত। আমাদের জবাব। Our Answer
যাকাতের গুরুত্ব ও ফযীলত
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ وَالصَّلٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ وَخَاتَمَ النَّبِيِّنَ وَعَلٰى ا ٰلِه وَأَصْحَابِه أَجْمَعِيْنَ. أَمَّابَعْدُ! فَقَدْ قَالَ اللهُ تَعَالٰى أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ. بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ. وَ الَّذِیْنَ یَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَ الْفِضَّةَ وَ لَا یُنْفِقُوْنَهَا فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ۙ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍۙ ۳۴ یَّوْمَ یُحْمٰی عَلَیْهَا فِیْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوٰی بِهَا جِبَاهُهُمْ وَ جُنُوْبُهُمْ وَ ظُهُوْرُهُمْ ؕ هٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِاَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ ۳۵
وَعَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ لَا يُؤَدِّيْ زَكَاةَ مَالِهِ إِلَّا مُثِّلَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعُ حَتَّى يَطُوْقُ عُنُقَهُ اَوَ كَمَا قَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلَامُ
ইসলাম আল্লাহর প্রদত্ত এক পূর্ণাঙ্গ জীবন—ব্যবস্থা। এ জীবন—ব্যবস্থায় এক সুষম ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতি ছাড়াও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যাকাতের মতো প্রদত্ত একটি চমৎকার কর্মসূচির বিধান রাখা হয়েছে। সমাজের বিত্তবান ও স্বচ্ছল লোকদের বাড়তি সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়মমাফিক আদায় করে, দরিদ্র ও বঞ্চিত লোকদের মাঝে যথাযথ বণ্টন করাই এ কর্মসূচির প্রধান বৈশিষ্ট্য। দৈহিক ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায, আর আর্থিক ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যাকাত। উভয়টি ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম।আভিধানিক অর্থে ‘যাকাত’ বলা হয়, যে জিনিস ক্রমশ বৃদ্ধি পায় ও পরিমাণে বেশি হয়। আরবি ভাষায় ‘যাকা ফুলানুন’ বাক্যের অর্থ হলো, অমুক ব্যক্তি যাকাত দিয়েছে। অর্থাৎ সুস্থ ও সুসংবদ্ধ হয়েছে। অতএব ‘যাকাত’ শব্দের অর্থ হলো, বরকত, পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া, প্রবৃদ্ধি লাভ, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা, শুদ্ধতা, সুসংবদ্ধতা ইত্যাদি। আর শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে প্রাপ্য ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক বানিয়ে দেয়াকে যাকাত বলে। যাকাত ইসলামের গুরুত্ব¡পূর্ণ একটি রুকন। যাকাত ব্যয়িত হয় অভাবী ও বঞ্চিতদের জন্য। এর দ্বারা দরিদ্র ও ধনীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
দান—সাদকার বহু ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি বিশেষ ফযীলত আল—কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এভাবে, ‘আল্লাহ্ পাক সুদকে মিটিয়ে দেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ্ তা‘আলা কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না।’ -সূরা ২ বাকারা— আয়াত : ২৭৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘একমাত্র দুই ব্যক্তি ঈর্ষণীয়; এক হলো যাকে আল্লাহ্ পাক সম্পদ দান করেছেন। আর হক কাজে সেই সম্পদ ব্যয় করার জন্য তাকে নিযুক্ত করেছেন। অপর ব্যক্তি হলো যাকে মহান আল্লাহ্ হেকমত তথা কুরআন—হাদীসের ইলম দান করেছেন আর সে সেই ইলম অনুযায়ী সবকিছুর ফয়সালা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ -বুখারি শরীফ, হাদীস নং—৭১
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, দান—সাদকা সম্পদকে হ্রাস করে না, আর ক্ষমা করার দ্বারা আল্লাহ বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধি করেন। আর কেউ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে তাওয়াজু বা বিনয় অবলম্বন করলে আল্লাহ্ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। -মুসলিম শরীফ, হাদীস নং—৪৬৮৯
অনুরূপভাবে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর বান্দারা যখনই ভোরে ওঠে, আকাশ থেকে দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ্! তুমি দাতাকে প্রতিদান দাও এবং অপরজন বলেন, হে আল্লাহ্! দাও তুমি কৃপণকে সর্বনাশ। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—১৩৫১
হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—৪৯৩৩
হাদীস শরীফের অপর এক বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পবিত্র উপার্জন থেকে একটি খেজুর বরাবর সদকা করবে, আর আল্লাহ তো পবিত্র উপার্জন ব্যতীত কবুল করেন না। তাহলে মহান আল্লাহ তার ওই সাদকা কবুল করবেন। অতঃপর সেটাকে বর্ধিত করবেন, যেমন আমাদের কেউ তার অশ্ব লালন—পালন করে বড় বানাতে থাকে। এভাবে আল্লাহ্ তার সাদকাকে বৃদ্ধি করতে থাকেন, এমনকি তা পাহাড়ের সমান হয়ে যায়। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—১৩২১
হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামায, রোযা, সাদকা ও ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ (এসব আমল) মানুষের পরিবার, ধন—সম্পদ, সন্তান—সন্তুতি ও প্রতিবেশী সংক্রান্ত গুনাহসমূহ মোচন করে দেয়। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—১৩৪৫
আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে মহিলাদের কাছে গেলেন এবং (তাদেরকে লক্ষ্য করে) বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা দান করো, কেননা আমাকে দেখানো হয়েছে, জাহান্নামের সিংহাভাগ হলো নারী। মহিলাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কী? তিনি বললেন, তার কারণ হলো তোমরা বেশি বেশি অভিশাপ দাও এবং স্বামীর নাফরমানী কর। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—২৯৩
হাদীস শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একটা খেজুর দান করে হলেও তোমরা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করো। -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—১৩২৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, দাতা ব্যক্তি আল্লাহ্ পাকের কাছে, জান্নাতের নিকটে, মানুষেরও নিকটে; আর জাহান্নাম থেকে দূরে। পক্ষান্তরে, কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ্পাক থেকেও দূরে, জান্নাত থেকেও দূরে, মানুষ থেকেও দূরে; আর জাহান্নামের নিকটে। নিশ্চয়ই মূর্খ দাতা আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয় কৃপণ ইবাদতকারীর চেয়ে। -তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং—১৮৮৪
যাকাত না দেয়ার শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ্ বলেন, যারা স্বর্ণ—রৌপ্য বা টাকা—পয়সা সঞ্চয় করে রাখে, আল্লাহ্র রাস্তায় সেটা ব্যয় করে না, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিয়ে দাও, ওই স্বর্ণ—রৌপ্য জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে এবং তা দ্বারা তার কপাল, তার পাঁজরে ও পিঠে (অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন স্থানে) ছেঁকা দেয়া হবে এবং বলা হবে, নিজেদের জন্য যেটা সঞ্চয় করে রেখেছিলে এটাতো তা—ই! এখন সেই সঞ্চয়ের স্বাদ আস্বাদন করে দেখ! -সূরা তাওবা, আয়াত—৩৫
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘যারা কার্পণ্য করে ওই সম্পদ নিয়ে যা নিজ অনুগ্রহে মহান আল্লাহ্ তাদেরকে দান করেছেন, তারা যেন মনে না করে যে, সেটা তাদের জন্য কল্যাণকর । বরং সেটা তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরিয়ে দেয়া হবে।’ -আলে—ইমরান, আয়াত—১৮০
হাদীস শরীফেও যাকাত ও দান সাদকা না করার বিষয়ে ভয়ানক শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যাকে আল্লাহ্ ধন—সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার যাকাত দেয় না, কেয়ামতের দিন তার সম্পদকে তার জন্য মাথায় টাক পড়া সাপরূপ দেয়া হবে, যার চক্ষুর ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে (অর্থাৎ প্রচণ্ড বিষাক্ত হবে) ওই সাপকে তার গলায় বেড়িস্বরূপ করে দেয়া হবে। অতঃপর ওই সাপ তার দুই গালে দংশন করতে থাকবে। আর বলতে থাকবে, আমি তোমার সঞ্চিত ভাণ্ডার! আমি তোমার সঞ্চয় করে রাখা সম্পদ!! -বুখারী শরীফ, হাদীস নং—১৩১৫
এ পর্যায়ে আমি যাদের ওপর যাকাত ফরয হয় তাদের আলোচনা করব। নিম্নোক্ত শর্তাবলি পূর্ণভাবে পাওয়া গেলে যাকাত ফরয হবে।
১. ইসলাম (অর্থাৎ মুসলমান হওয়া) কাফের ব্যক্তির ওপর যাকাত ফরয হবে না, চাই যে (জন্ম থেকেই) প্রকৃত কাফের হোক বা মুরতাদ হোক।
২. স্বাধীন হওয়া। ক্রীতদাসের ওপর যাকাত ফরয নয়।
৩. বালেগ হওয়া। নাবালেগের ওপর যাকাত ফরয নয়।
৪. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ওপর যাকাত ফরয নয়।
৫. সম্পদের পূর্ণ মালিকানা থাকা। পূর্ণ মালিকানা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সম্পদ তার অধিকারে থাকা এবং তার মালিকানাধীন হওয়া। সুতরাং কেউ যদি এমন কিছুর মালিক হয় যা তার অধিকারে আসেনি তবে তাতে যাকাত ফরয হবে না। যেমন, অধিকারে আসার পূর্বে স্ত্রীর মোহরানা। অতএব, যে মোহরানা এখনো অধিকারে আসেনি তার ওপর যাকাত ফরয হবে না। অনুরূপভাবে কোনো সম্পদ কোনো ব্যক্তির অধিকারে আছে, কিন্তু তা তার মালিকানাধীন নয়। যেমন, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যার যিম্মায় অন্যের মাল রয়েছে তার ওপর যাকাত নেই।
৬. মালিকানাধীন সম্পদ ‘নেসাব’ পরিমাণে পেঁৗছা। সুতরাং ওই ব্যক্তির ওপর যাকাত ফরয হবে না যার সম্পদ নেসাব পরিমাণে পৌছেনি। যে সকল সম্পদের যাকাত প্রদান করতে হয় ওই সকল সম্পদের বিভিন্নতার কারণে নেসাবও ভিন্ন ভিন্ন হয়। (এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ কোনো আলেমের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে)।
৭. সম্পদ নিত্য—প্রয়োজনীয় ব্যয়ের উদ্বৃত্ত হওয়া।
৮. সম্পদ ঋণমুক্ত হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তির ওপর এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে, তা নেসাবকে ঢেকে নেয়। (অর্থাৎ তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে আবার তার এ পরিমাণ ঋণও রয়েছে) অথবা নেসাবকে কমিয়ে দেয় (অর্থাৎ তার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে, তা পরিশোধ করলে নেসাব থাকে না, নেসাবের কম হয়) তাহলে তার ওপর যাকাত ফরয হবে না।
৯. সম্পদ বর্ধিষ্ণু হওয়া। চাই সম্পদ প্রকৃত বর্ধিষ্ণু হোক যেমন, গৃহপালিত পশু অথবা গুণগত বর্ধিষ্ণু হোক যেমন, স্বর্ণ—রৌপ্য। স্বর্ণ—রৌপ্যকে বর্ধিষ্ণু ধার্য করা হয়েছে তা পাকা হোক বা কাঁচা অবস্থায় হোক। অলংকাররূপে হোক অথবা পাত্ররূপে হোক, ব্যবহারের জন্য হোক বা না হোক, তার ওপর যাকাত ফরয হবে। হিরা—মুক্ত, জহরত ইত্যাদির ওপর যাকাত ফরয হবে না, যদি তা ব্যবসায়ের উদ্দেশে না হয়।
যেমন, মুক্তা, হিরা, ইয়াকুত, যরবযদ ইত্যাদি। যে ব্যক্তি সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য অথবা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ কিংবা সে মূল্যের টাকার মালিক হয় এবং তার কাছে ওই পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর অবশিষ্ট থাকে, তার ওপর যাকাত ফরয হয়। এই পরিমাণের চাইতে কম হলে যাকাত ফরয নয়। এই পরিমাণের বেশি হলেও যাকাত ফরয হয়। উল্লিখিত (সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য বা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা এই পরিমাণ) সম্পদকে ‘নেসাব’ বলে এবং যে ব্যক্তি এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাকে ‘মালিকে নেসাব’ বা ‘সাহেবে নেসাব’ বলা হয়।
এ পর্যায়ে কোন কোন জিনিসের ওপর যাকাত ওয়াজিব হয় না সে বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই।
১। বসবাসের ঘরসমূহ,
২। দেহের পোশাক,
৩। গৃহের আসবাব পত্র,
৪। বাহনের জন্তু বা যে কোনো যানবাহন,
৫। ব্যবহারের অস্ত্র—শস্ত্র,
৬। যন্ত্রাপাতি, যার দ্বারা উৎপাদনে সাহায্য নেয়া হয়,
৭। জ্ঞান অর্জন করা যায় এমন কিতাবাদি। কারণ, এ সকল জিনিস নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। বিধায় এসবের ওপর যাকাত ওয়াজিব নয়।
প্রত্যেক মানুষ যেমন বিল্ডিং নির্মাণের পূর্বে ভালো ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে প্ল্যান করিয়ে নেয়, অনুরূপভাবে প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত যাকাত বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো আলেম দ্বারা যাকাতের হিসাব করিয়ে নেয়া। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে হিসাব করে যাকাত আদায় করার তাওফীক দান করুন। মনে রাখবেন, যাকাত আপনার অনুগ্রহ নয়, যাকাত আপনার দায়িত্ব। গরিব মানুষ আপনার যাকাত গ্রহণ করে আপনাকে কৃতজ্ঞ করল। আপনি তাকে কোনো অনুগ্রহ করেননি। সেই আপনাকে যাকাত গ্রহণ করে অনুগ্রহ করেছে। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে মাসআলা অনুযায়ী যাকাত আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমীন
আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট রাহে সুন্নাত ব্লগ
যে মহিলা বে-পর্দা চলতে অভ্যস্ত তার জন্যও পর্দা আবশ্যক
বিবাহের পর কনে তুলে নেওয়ার আগে পর্দা রক্ষা করা কি জরুরী?
কোন মন্তব্য নেই