Header Ads

Header ADS

বন্ধু : আল্লাহর ভয় আল্লাহর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে । আমাদের জবাব

 বন্ধু : আল্লাহর ভয় আল্লাহর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে

আল্লাহ তায়ালা বলেন: 

اِنْ اَوْلِيَائُهُ اِلَّا الْمُتَّقُوْنَ

অর্থাৎ আল্লাহর ওলী তারাই যারা মুত্তাকী। যখন মানুষ গোনাহ ছেড়ে দেয়। তখন তারা সাধারণ মানুষ থাকে না। তারা ভি.আই.পি. হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার দোস্ত হয়ে যায়। আল্লাহর দোস্ত ঐ সকল মানুষ যারা আল্লাহর নাফরমানী ছেড়ে দেয়। আল্লাহর নাফরমানী করে করে কোন দিন কোন মানুষ আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের দোস্ত হতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর নাফরমানী ছেড়ে দিয়েই আল্লাহর দোস্ত হওয়া যায়। ভাই! আপনার কোন বন্ধু যদি সবসময় আপনার মুখালিফ আচারণ করে। আপনার বিরোধিতা করে তাহলে সে কোনদিন আপনার মুখলিস ফ্রেন্ড বা বন্ধু হতে পারবে না। আপনার আসল ও মুখলিস বন্ধু তো সেই ব্যক্তি যে আপনার কথামত চলে। আপনার মর্জি মোতাবেক চলে। আর আল্লাহ তায়ালারও মুখলিস ফ্রেন্ড, একনিষ্ঠ বন্ধু সেই ব্যক্তি যে তাঁর নির্দেশ মত জীবন পরিচালনা করে। 

বন্ধু

আল্লাহ তায়ালা দয়ার সূরতে, মায়ার সূরতে, মুহাব্বত ও ভালবাসা দেখিয়ে বলতেছেন:

يَآاَيُّهَا الَّذِيْنَ اَمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ

হে আমার প্রতি বিশ্বাসীগন! হে আমার মুমিন বান্দাগন! তোমরা একমাত্র আমাকেই ভয় কর। তোমরা তাকওয়া এখতিয়ার কর। 

প্রিয় বন্ধুরা! আল্লাহর ভয়ই হলো আল্লাহর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার আসল মাধ্যম। আর তাকওয়া এমন একটা বস্তু যা প্রত্যেক বালেগ নারী-পুরুষের উপর সবসময় ফরজ। তাকওয়া চব্বিশ ঘন্টা ফরজ। নামাজ, রোজা, হজ¦, যাকাত আরো অন্যান্ন হুকুম-আহকাম চব্বিশ ঘন্টা ফরজ নয়। কিন্তু আল্লাহর ভয়, আল্লাহর খওফ চব্বিশ ঘন্টাই ফরজ। এক সেকেন্ডের জন্যও তাকওয়া বাদ দেওয়া যাবেনা। মসজিদের মধ্যে তাকওয়া এখতিয়ার করতে হবে। বাজারে গেলে তাকওয়া এখতিয়ার করতে হবে। দোকানে গেলে তাকওয়া এখতিয়ার করতে হবে। যেখানে থাকুক, যে অবস্থাতে থাকুক না কেন সবসময় তাকওয়া থাকতে হবে। এই কারনেই বলা হয় তাকওয়া সবসময় ফরজ।

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ! তাকওয়ার মাধ্যমে মানুষ, মানুষ বনে। ইনসান, ইনসান বনে। তাকওয়ার মাধ্যমে মানুষের দুনিয়ার জীবন ও সুন্দর হয়। আবার আখেরাতের জীবন ও সফল হয়। যারা তাকওয়া ওয়ালা জীবন পরিচালনা করে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهُ مَخْرَجاً 

অর্থাৎ যারা তাকওয়া তথা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কে ভয় করবে তার জন্য দুনিয়ার সকল ব্যস্ততা ও পেরেশানির মধ্যেও শান্তির আশ্রয়স্থলে আশ্রয় দান করবেন। 

প্রিয় বন্ধুরা! দুনিয়ার খনস্থায়ী জীবনে সুখ-শান্তি ও আরাম-আয়েশের জন্য মানুষ কত কিছুইনা করে। সুন্দর বাড়ী নির্মাণ করে। গরম থেকে বাঁচার জন্য এয়ারকন্ডিশন লাগায়। ভ্রমন করার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ী খরিদ করে। মোটকথা একজন মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করার জন্য যা যা দরকার সব কিছুরই ব্যবস্থা সে করে। আর এগুলো দ্বারা সে তার শরীরের জাহেরী অংশ অর্থাৎ শরীরের চামরাকে আরাম দিতে পারে। কিন্তু দিলের মধ্যে যে অশান্তি রয়েছে, অস্থিরতা রয়েছে। তা এয়ারকন্ডিশন দ্বারা দূর হয় না। বিলাস বহুল বাড়ী বা গাড়ী দ্বারা দূর হয় না। বরং দিন দিন বাড়তে থাকে। তাহলে দিলের অশান্তি ও অস্থিরতা কোন জিনিসের দ্বারা দূর হবে? কোন কাজ করলে দিলের অশান্তি ও অস্থিরতা চলে যাব? 

আল্লাহ তায়ালা তা বলে দিয়েছে

وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهُ مَخْرَجًا

যে সকল মানুষ আমি আল্লাহর নাফরমানী ছেড়ে দিবে, আমার হুকুম-আহকাম মেনে আমার মর্জি মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবে আমি আল্লাহ তার দিলের সকল অশান্তি ও পেরেশানি দূর করে শান্তি ও রহমত দ্বারা তার অন্তরকে ভরপুর করে দিব। কাজেই বুঝা গেল আল্লাহর ভয়ই মানুষের শরীরের জাহেরী ও বাতেনী অংশকে শান্তির ছায়া দ্বারা শীতল করে দিতে পারে।

আল্লাহর ভয় মহান আল্লাহর সাথে বন্ধুত্ব গড়ার মাধ্যম

মহানবী জগতের আদর্শ মহামানব। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.