অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায়। আমাদের জবাব
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায়
খুব সহজেই
মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। দেশের লাখ লাখ মানুষ এখন
এই অনলাইন ইনকাম এর উপর নির্ভরশীল।
আপনিও ইনকাম
করতে পারবেন খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে । আপনি কি সেটি চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
এই অনুচ্ছেদটিতে
আমরা অনলাইন ইনকাম এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করবো এবং সাথে সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা
১০টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হন,এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।
অনলাইন ইনকাম এর সারমর্ম :
অনলাইনে টাকা
ইনকাম করার বিষয়টি আজ থেকে ১০ বছর আগে যতোটা কঠিন ছিল,এখন কিন্তু তার থেকে অনেক সহজ। হাটি হাটি পা পা করে ডিজিটাল
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে বিভিন্ন সমস্যার কারনে আজ থেকে ১০
বছর আগেও অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবতেও পারতো না।
কিন্তু সেই
স্বপ্ন বর্তমান সময়ে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধু ইনকামই
করছে এমনচা নয়;বরং অনেক পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে
এসেছে এই ইনকামের মাধ্যমে।
আধুনিক এই
বিশ্বে এখন অফিস, আদালত,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে শুরু করে প্রায় সকল সেক্টরেই অধিকাংশ কাজ অনলাইন কেন্দ্রিক। আগে আপনি যদি কোনো
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে চেতেন,সেটি আপনাকে নিজে এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফর্ম নিতে হতো। কিন্তু এখন আপনি দেশের
যে কোনো প্রান্ত থেকেই অনলাইনে ভর্তি ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রেও।
এসব বিভিন্ন জায়াগায় বিভিন্ন কাজ অনলাইনে সম্পাদনের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ
সৃষ্টি হয়েছে। এই কাজ করার জন্য শুধু আপানার প্রয়োজন একটি ডিজিটাল ডিভাইস।
আমি গ্যারান্টি
দিতে পারবো না আপনি শুরুতেই লাখ লাখ টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে যদি আপনার ধৈর্য থাকে, আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট
কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন,সেক্ষেত্রে অনলাইন
থেকে অনেক বড় পরিমানের অর্থ প্রতিমাসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন?
বাংলাদেশে
অনলাইন ইনকাম এর বিষয়টি আমাদের নতুন সমাজের কাছে নতুন একটি বিষয় হলেও এটি কিন্তু
সারা পৃথিবীতে শুরু হয়েছে অনেক আগ থেকেই। সত্যি কথা বলতে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে নিজের
ক্যারিয়ার গড়ার এ সুযোগ কিন্তু খুব কম পেশায় পাওয়া যায়।
তাছাড়া অনলাইন
ইনকাম এর জন্য আপনার বিশেষ কিছুই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি খুব
সহজেই কোনো কাজে দক্ষ হয়ে সেটা থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন।
আপনি ছেলে-মেয়ে,শিক্ষক-ছাত্র,চাকরিজীবী বা
পেশাজীবী যাই হন না কেন,আপনি এই সেক্টর থেকে
আয় করতে পারবেন। আপনি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে আপনার পড়ালেখার খরচ যদি আপনি নিজেই
জোগাড় করতে পারেন,তাহলে কি সেটা মন্দ
হবে?
প্রতিদিন
অনেক সময় তো ফেসবুক,ইউটিউব,টুইটার,ইত্যাদিতে ব্যায়
করেন। চাইলে এই সময় গুলো শুধু চ্যাটিং আর নিউজফিড ঘুটে নষ্ট না করে এখান থেকেও আয়
করা সম্ভব।
এছাড়া পড়া
লেখার ফাকে ফাকে বা অবসর সময়ে যদি এই কাজগুলো করেন তাহলে দেখবেন সময়ও নষ্ট হচ্ছেনা
এবং পাশাপাশি কোনো খারাপ দিকে মনও যাচ্ছেনা।
আর আপনি যখন
নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করবেন, তখন দেখবেন আপনার
নিজের ভেতরে অন্যরকম একটা সন্তুষ্টি কাজ করছে;অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছে।
তাই অবশ্যই
আপনি চেষ্টা চালিয়ে যান এই কাজে। মনযোগী হন অনলাইনে ইনকাম করার প্রতিযোগীতার
ময়দানে। কিছু লাগবেনা অনলাইন ইনকাম শুরু করতে আপনার। শুধু প্রয়োজন আগ্রহ ও সৎ
সাহস।
তাছাড়া একটি
ডিজিটাল ডিভাইস,ইন্টারনেট সংযোগ এবং কাজ করার ইচ্ছা।
কিভাবে কি করবেন তার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ১০টি উপায় :
অনলাইন থেকে
টাকা ইনকাম করতে কে না চায়? সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু আয় করার। অনলাইন ইনকাম
সোর্স অনেক আছে। কিন্তু তারমধ্যে ভালো বা খারাপও আছে।
আমরা আজকের
এই আর্টিকেলে এমন ১০টি অনলাইন ইনকামের উপায় জানব যেগুলো থেকে আপনি যেমন অনেকটা নিশ্চিন্তে
আয় করতে পারবেন,একই রকমভাবে স্বচ্ছলভাবে
আয়ও করতে পারবেন।
বর্তমানে
অসংখ্য মাধ্যম আছে অনলাইনে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে সেরা
১০ টি উপায় নিচে দেয়া হলো :
১। ব্লগিং
করে আয় :
ব্লগিং করা
অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন একটি সাইট। কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে
বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।
এটি মূলত
একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন।
যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।
আপনি এখন
যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি করতে যদি আপনার
আগ্রহ থাকে,তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম
করতে পারেন।
আপনার যে
বিষয়ে আগ্রহ,জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে
ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি কাজে দেয়।
তাই আপনি
যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই (niche) কাজ করতে পারেন। নিশ(niche) বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগকে বোঝায় যেমন,খেলাধুলা,টেকনোলজি,আইন,রান্না,জীবনী, ভ্রমন,ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায়
ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।
এখন মূল বিষয়
হলো আপনি কোথায় লেখা লিখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট
নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। তবে
ফ্রি সাইটগুলোকে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।
তাই আমার
পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি
সাইট তৈরি করুন। এরপর ওখানে লেখা লেখি শুরু করুন। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।
একটি ডট কম
ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং
শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনার তিন হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
এইভাবে খরচ
করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে এবং ইনকাম এর পরিমানও অনেক বেশি হবে
ফি সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইট এর দামও অনেক হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একটি
ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ পর্যন্ত হয়ে যায়।
আর ফ্রি সাইট
গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেইন দিবে না গুগোল। আপনি সেক্ষেত্রে পাবেন সাব ডোমেইন।
এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগসাইট
খুলতে পারেন।
আর এক্ষেত্রে
আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন
ইনকামের কথা ভাবছেন,তাদের জন্যও এটি
একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।
তবে এতো কিছুর
পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি
খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে
আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।
২। ফ্রিলান্সিং
করে আয় :
অনলাইনে যে
পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে
এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে
আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে ।
পৃথিবীর কাছে
বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষেরা জানতোই না যে পৃথিবীর
মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের
দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।
সাথে সাথে
প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং
এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।
এখন আসি কিভাবে
শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে
কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া।
এখানে আপনার
কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার
কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে
পরিবর্তন হতে থাকবে।
যাহোক,সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা।
এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং,হতে পারে ফটো এডিটিং,হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং,ওয়েব সাইট মেকিং,কপি রাইটিং,কন্টেন্ট রাইটিং,লোগো ডিজাইন,ইত্যাদি।
এসবের যেকোনো
একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক
কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়।
কাজ শেখার
পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন— Freelancer,
Up work, Fiver, ইত্যাদি) আপনার তথ্য
দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন
করে দিতে হবে।
তবে একটা
বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। কিন্তু
সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই।
তাই যেকোনো
ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে
আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় কেবল তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।
তারপর,আপনি যে কাজ পারেন তার প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত
কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার
ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে।
এক্ষেত্রে
আমার পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
নতুন হিসাবে ওই পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে।
প্রথম প্রথম
আপনাকে কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেও যদি ফ্রিলান্সার
থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন।
এই রেফারেন্স
এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে,তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে।
এছাড়াও প্রথমে
গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করতে পারেন। ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের
মতে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজ পাওয়া একটু কঠিন।
৩। ইউটিউবিং
করে আয় :
বাংলাদেশের
অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আপনিও কিন্তু চাইলে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
এই ভিডিও
বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার—ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে তাদের ইউটিউব যাত্রা। তারপরে
সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।
আপনার কন্টেন্ট
যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি
ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই
আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।
তবে এক্ষেত্রে
একটি ছোট্ট বিষয় টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে
কাজ করতে করতে চান তাহলে ভিডিওর অডিও ও ভিডিও এডিটিং খুবই ভালো ভাবে করতে হবে।
তারপরে সর্বনিম্ন
এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন
এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই
আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও বর্তমানে
ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও
ইনকাম করতে পারেন। দেখা গেলো কোনো একটা কোম্পানি কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য
আপনার ভিডিও তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে
সম্মতি প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে পেমেন্ট করবে।
৪। ভিডিও
দেখে অনলাইন ইনকাম :
ভিডিও দেখে
অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও
দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। বর্তমানে এমন
কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য পেমেন্ট করা হবে।
তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট রয়েছে।
যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না। এ ধরনের প্রতারণার
হাত থেকে বাচঁতে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
সাধারনত এই
ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা
করবে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলার। একটা বিষয়
সব সময়ই মনে রাখবেন। অনলাইনে কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট
করবে না।
যখনই দেখবেন
কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের
কথা বলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে আয়ের কথা বলছে; তখনই ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো ভাবে দেখে শুনে যদি সত্যিকার অর্থেই আসল বলে মনে হয়
তখন কাজ করা শুরু করবেন; অন্যথায় নয়।
৫। ওয়েবসাইট
বানিয়ে আয় :
আপনি হয়তো
জেনে থাকবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে এরকম ওয়েবসাইট
বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো
বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে কেউ চাইলেই করতে পারেন।
কিন্তু যে
সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো
চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে,সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ
ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।
তাই আপনি
যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন,অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে
সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি
করতে পারেন।
আপনি চাইলে
ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও
শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং।
আবার অনেক
ক্ষেত্রে নতুন সাইটও বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট থাকে। আর এই কাজের
একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন,তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনেও
এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার।
৬। ড্রপশিপিং
এর মাধ্যমে আয় :
ড্রপশিপিং
অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং আসলে কি? এটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই
বুঝে যাবেন।
মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে
৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে
অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৫০০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরকম কিন্তু
আমাদের দেশে সবসময় হয়েই চলেছে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ৫ টাকা কেজি মূল্যে কিনে
বড় বড় বাজারে ওইগুলো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তো এক্ষেত্রে
আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স সাইটে
প্রোফাইল খুলে ওই পন্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী আছে তার
কাছে থেকে পন্য টা ৫০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার প্রোফাইলে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
এতে একটি
পন্যেই ৯০০ টাকা লাভ করতে পারছেন। অথবা আপনি
যদি ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাতেও আপনার ৭০০ টাকা লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই মুলত ড্রপশিপিং।
আপনার এলাকায় যদি এরকম কোনো সুযোগ থেকে থাকে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটি কাজে লাগানো।
৭। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করে আয়।
অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।
এটি অনেক
সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে
এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।
বিশ্বজুড়ে
হাজার হাজার ই-কমার্স সাইট রয়েছে।
এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স সাইটের প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি
সেকশন রয়েছে।
আপনি সেখানে
অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ
তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই
আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এখন ওই নির্দিষ্ট
ই-কমার্স সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরনসহ ওই লিঙ্ক কপি
করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি
কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।
এক্ষেত্রে
আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।
তবে এ ধরনের
কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং
সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।
এভাবে অনেক
টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া
আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।
এর জন্য আপনার
দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে
পারেন,তাহলেই খুব সহজে এখান থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে
ফেলতে পারেন। বর্তমানে অ্যামাজন, এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৮। অনলাইনে
পড়িয়ে আয় :
আমাদের আসে
পাশে অনেক মানুষই দেখতে পাবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে
পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে মাসে অনেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু
এভাবে বাসায় গিয়ে গিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ও অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।
অন্যদিকে
কোচিং সেন্টারের জায়গা জোগাড় করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। এক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশে
যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটি হলো অনলাইন টিচার কনসেপ্ট।
আপনি চাইলে
ঘরে বসেই অনলাইনে ছাত্রদের পড়িয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। আপনি জেনে
অবাক হতে পারেন যে বর্তমান বিশ্বে ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিচ্ছেন।
ভারতেও এর
জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশেও এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে
যেখানে অনলাইনে পড়ানো হয়ে। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল অন্যতম।
আপনি তাদের
থেকেও অনেক ধারনা নিতে পারেন। প্রথমে হয়তো বিভিন্ন বাধা বিপত্তি আসবে, ছাত্র খুঁজতে বেগ পেতে হবে,কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সুবিধা পেতে পারেন এখানে থেকে।
৯। ছবি বিক্রি
করে আয় :
আমাদের বর্তমান
জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গুণা। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন
ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ
উপার্জন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে
আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও
তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর চাইলে
একটু এডিট করে অথবা “র” ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির
জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনি যদি
অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে
অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো
যায়।
অনলাইনে ছবি
বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি। তার মধ্যে, Shutter
stock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়
এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।
আপনি এইসব
ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন
মানুষ ক্রয় করে নিবে। এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টুনে এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১০। অনলাইন
সার্ভে করে আয় :
অনেক কোম্পানি
আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে।
অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের
জনগন কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই
বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।
এইসব সার্ভে
সাধারনত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে ভালো অঙ্কের একটি ইনকাম
করে ফেলতে পারেন। বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ
করে থাকে। এইসব সার্ভে গুলো নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এর জন্য আপনাকে
প্রথমে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার সব ইনফর্মেশন দিয়ে
অ্যাকাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কয়াজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তবে প্রতিটি সার্ভেতেই
আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট—এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম ও বিকাশে পেমেন্ট
একটা বিষয়
সর্ম্পকে আপনাদের পরিষ্কার ধারনা থাকা উচিত। অনলাইন ইনকাম করে বিকাশে টাকা আনার ব্যাপারে
আপনাদের অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন আসে যে অনলাইনে আয়কৃত টাকা কি সরাসরি বিকাশে আনার
কোনো উপায় আছে?
একদম সহজ
করে যদি এক কথায় এটির উত্তর দিতে চাই তাহলে এটির উত্তর হবে ‘না’। আপনি অনলাইনে আয় করা টাকা সরাসরি আপনাকে বিকাশে আনতে পারবেন
না।
তবে এখানে
কিছু বিষয় রয়েছে। আপনি কোন সাইট থেকে আয় করছেন,সাইটটি কি বাংলাদেশী কোনো এডমিন দ্বারা পরিচালিত কি না কিংবা তারা বিকাশ পেমেন্ট
সার্পোট করে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলোও এখানে খুব মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
এমন অনেক
অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে যেখানে তারা সরাসরি বিকাশে ক্যাশ উইথড্র করার সুযোগ দিয়ে
থাকে। সে ধরনের কোনো ওয়েবসাইটে যদি আপনি কাজ করে থাকেন এবং সাইটটি যদি রিয়েল হয়ে
থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি
যদি কোনো বাহিরের দেশের কোনো ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকেন যারা মূলত বিকাশে পেমেন্ট করে
না বরং অন্য কোনো পেমেন্ট গেটওয়েতে পেমেন্ট করে তাকে সেক্ষেত্রে আপনি কোনো থার্ড পার্টি
ব্যবহার করে পেমেন্টটি রিসিভ (জবপবরাব) করতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে
যার মাধ্যমে আপনি পেমেন্টটি আনতে চাচ্ছেন,তার বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে :
বিকাশের মতো
অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায় কি না। সত্যি
কথা বলতে বিকাশের মতোই একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে বলবো ‘না’। আপনি মোবাইল
দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।
উপরে অনলাইন
থেকে আয়ের যে বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমরা আলোচনা করেছি সেই কাজগুলি করতে গেলে কিন্তু
একটি মোবাইলের থেকে একটি কম্পিউটার হলেই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।
আমি বলছি
না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই আয় করা যাবে না। অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছেন
যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেই আজকে অনেক লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস পেয়েছেন।
এমনও অনেকে
রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়েই ফেসবুক একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের
অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বড় করেই তুলছেন।
কিন্তু সত্যি
কথা বলতে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার
অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। নতুবা আপনার পক্ষে প্রফেশনালভাবে
অনলাইনে কাজ করাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।
শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম
বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি বিষয় যা ঘরে বসে ইনকাম এবং নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির
অন্যতম একটি মাধ্যম। হাজার হাজার বেকার যুবক এখন বসে না থেকে এই পথে নেমেছে। যাহোক,এই ছিলো মূলত আমাদের আজকের আলোচনা।
আমাদের দেশের
ফ্রিল্যান্সাররা থেকে শুরু করে অনেক মানুষই বর্তমানে অনলাইন ইনকামের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের
অনলাইন ইনকাম সাইটগুলোর মধ্যেও অনেক ভালো সাইট রয়েছে যেগুলো আজকাল বেশ ভালো করছে।
একটু কষ্ট
করে কিছুটা রির্সাচ করলেই আপনি এ সর্ম্পকে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। মোটামুটি এই
হচ্ছে অনলাইন ইনকাম এর হাতেখড়ি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা।
আমরা এখানে
অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায় এবং বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার
করেছি। এখন সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার যা
আপনি কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে চাচ্ছেন।
আশা করি এই
আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝেছেন। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে
কোনো প্রশ্ন থাকে সেটি কমেন্ট বাক্সে জানাতে ভুলবেন না আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার
একটুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শুভ হোক আপনার
অনলাইন যাত্রা। ধন্যবাদ।
নিজের মুমিন ও মুসলমান হওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করা কি জরুরী
ঈমানের সংজ্ঞা ও পরিচয় কী? আমাদের জবাব। Our Answer
কোন মন্তব্য নেই